এবিএনএ : জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পর পর দুই দিন শক্তিশালী দুটি ভূমিকম্পে কমপক্ষে ২৯ জন নিহত হয়েছে। আরো বহু সংখ্যক ব্যক্তি ধসে যাওয়া ভবনের নিচে আটকে আছে বলে জানা গেছে।
বিভিন্ন ভবনের বাসিন্দারা জিমনেশিয়াম ও হোটেল লবিতে আশ্রয় নিয়েছে। প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা এখনো জানা যায়নি, শনিবার উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত আছে। কুমানাতো শহরের কর্মকর্তা তোমোইউকি তানাকা বলেন, প্রতি ঘণ্টায় নিহতের সংখ্যা বাড়ছে।
সর্বশেষ স্থানীয় সময় শনিবার দিবাগত রাত ১টা ২৫ মিনিটে আঘাত হানা ৭.৩ মাত্রায় ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হয়েছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। এছাড়া আরো ১ হাজার আহত ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। । বৃহস্পতিবার রাতে একই শহরে ভূমিকম্পের আঘাতে ১০ জন নিহত হয়েছিল এবং ৮০০ জন আহত হয়েছিল। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের পরে শনিবার সকালে ৫.৪ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত হানে। তবে জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তর মনে করছে ৭.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটিই ছিল মূল। ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ভূমি থেকে ১০ কিলোমিটার অভ্যন্তরে অবস্থিত। এই কারণে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে বেশি।
জাপানের গণমাধ্যম জানিয়েছে, কমপক্ষে ২ লক্ষ বাড়িঘর সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না আক্রান্ত এলাকায়। জাপানের মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিহিদে সুগা একটি জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ভবন ধসে আটকা পড়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে পুলিশের কাছে কমপক্ষে ৪০০টি ফোন এসেছে। ১৬০০ সেনা উদ্ধার কাজে যোগ দিয়েছে।
ভূমিকম্পের পরে কিউশু সেন্দাই পারমাণবিক কেন্দ্রর কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছে দেশটির পারমাণবিক নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ।